গঠনতন্ত্রের ধারা-৬ অনুযায়ী খেলাফত মজলিসের সদস্যপদ নিম্নরূপঃ

(১)  প্রাথমিক সদস্যঃ যে কোনো ব্যক্তি খেলাফত মজলিসের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির সাথে একমত হয়ে সংগঠনে যোগদান করলে তিনি প্রাথমিক সদস্যভুক্ত হবেন।
(২) কর্মীঃ যেসব প্রাথমিক সদস্য সংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহন করবেন তারা এ সংগঠনের কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
(৩) সদস্যঃ সংগঠনের যে কর্মী নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করবেন তিনি খেলাফত মজলিসের সদস্য হতে পারবেনঃ
(ক) খেলাফত মজলিসের মূলনীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা এবং নীতি-পলিসি ও কর্মসূচির সাথে ঐকমত্য পোষণ।
(খ) ইসলামের মৌলিক বিধিবিধান মেনে চলা।
(গ) সাংগঠনিক তৎপরতায় যথাসাধ্য সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দান।
(ঘ) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক নিয়ম- শৃঙ্খলা মেনে চলা।
(ঙ) দ্বীন ইসলাম ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা।
(চ) খেলাফত মজলিসের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও মূলনীতির পরিপন্থী কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক না রাখা।

(৪) সদস্য হতে ইচ্ছুক ব্যক্তি নির্ধারিত নিয়মে আমীরে খেলাফত মজলিসের কাছে আবেদন করবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আমীরে মজলিস সদস্যপদ মঞ্জুর করবেন এবং সদস্য শপথের ব্যবস্থা করবেন।

(৫) সদস্যগণ গঠনতন্ত্রের পরিশিষ্টে বর্ণিত শপথ গ্রহণ করবেন।

৬) কোন সদস্য যদি গঠনতন্ত্রের ৬(২) এ বর্ণিত শর্তসমূহ সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেন অথবা তার কার্যক্রমে সংগঠনের ভাবমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে মহাসচিব আমীরে মজলিসের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ মুলতবী করতে পারবেন। মুলতবী অবস্থায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর অথবা জবাব না পেলে, নোটিশ দানের এক মাস পর বিষয়টি নির্বাহী পরিষদে উত্থাপিত হবে। নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে আমীরে মজলিস তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেন।

(৭) কোনো কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে তিনি অন্যান্য সমস্ত দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি পাবেন।