‘গো-রক্ষার নামে ভারতে মুসলিম হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে দিচ্ছে না সরকার’
ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০১৭ঃ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহম আবদুল কাদের বলেছেন, ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে প্রাপ্য পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আর বন্যা মৌসুমে ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের সমস্ত গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে ডুবিয়ে মারছে। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলের লখো লাখো মানুষ আজ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ভারতের এ আচরণ সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় পানি আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতে হবে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। জনগণকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সরকারকে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের ইস্যুটি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে হবে। একই সাথে বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবারহ করতে হবে। সরকার ও দেশের বিত্তবানদের ত্রাণ তৎপরতায় এগিয়ে আসতে হবে। গো-রক্ষার নামে মুসলিম হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসী পানিনীতর প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আজ ১৪ সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, এডভোকেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমদ, মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মো: আবুল হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাফিজ খসরু, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কাজী আরিফুর রহমান, মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, হাজী হারুনূর রশীদ, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ আবুল কালাম, মনসুরুল আলম মসনুর প্রমুখ।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, পাঠ্য পুস্তক ও পাঠ্যসূচীতে নাস্তিক্যবাদী বিষয়াদী পুন:স্থাপনের কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী রদাস্ত করবে না। সরকার নাস্তিক্যবাদী তথাকথিক বুদ্ধিজীবীদের কথা মত পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন করলে তার ফল শুভ হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ গোলাম আসগর বলেন, গো-রক্ষার নামে ভারতে মুসলিম হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না প্রতিবাদ করতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ খোদ ভারতের মানুষ পশুবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। প্রভুদের খুশী রাখার জন্যে সরকার গো-রক্ষার নামে ভারতে মুসলিম হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে দিচ্ছে না। কিন্তু জনগণ জেগে উঠলে বিদেশী প্রভুরা সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।