বন্যায় দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে- মাওলান মোহাম্মদ ইসহাক
ঢাকা,  ১৮ আগস্ট ২০১৭ খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, ভয়াবহ বন্যায় দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। উত্তারঞ্চলের লাখো পানিবন্দী মানুষ আজ অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করতে হবে। একই সাথে মহান আল্লাহর কাছে সবাইকে পানাহ চাইতে হবে। আরো ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে যেন আল্লাহ দেশ ও দেশের মানুষকে হেফাজত করেন। বন্যার্তদের দুর্দশা লাঘবের জন্যে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভয়াবহ বন্যা থেকে পরিত্রাণ, নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং  বন্যার্তদের দুর্দশা লাঘবের জন্যে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী দোয়া দিবসের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ১৮ আাগস্ট শুক্রবার বাদ জুমা বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনের সড়কে মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তার হিসেব বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বায়তুলমাল ও আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহামন, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, প্রকৌশলী আবদু হাফিজ খসরু, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, হাজী নূর হোসনে, হারুনুর রশীদ,  মনসুরুল আলম মনসুর প্রমুখ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, দুর্গত- নিরন্ন মানুষের পাশে দাড়ানো মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। খেলাফত মজলিসও তার কর্মীদের নিয়ে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। তাই খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয়ভাবে ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাহফিলে বন্যাদুর্গতদের জন্যে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন আমীরে খেলাফত মজলিস অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
উল্লেখ্য, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটি বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশী সেখানে দোয়া অনুষ্ঠান করতে বাঁধা দেয়ায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে মজলিস অফিসের সামনে দোয়া মাহফিলটি করা হয়।
কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী দোয়া দিবসের কর্মসূচী উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শাখায় খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গাজীপুর জেলা ও মহানগরী, সিলেট মহানগরী, বরিশাল মহানগরী ও পূর্ব জেলার উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, আগইলঝড়া, ভোলার বোরহান উদ্দিন, বরগুনার পাথরঘাটা, আমতলী ও সদরে, পটুয়াখালীর গলাচিপা, বাউফল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা মহানগরী, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা, কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোন, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী মহানগরী, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, রংপুর মহানগরী ও জেলা, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।