ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাফত মজলিসের উলামা ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিলে আওয়ামীলীগ ২০-৩০টির বেশি আসন পাবে না- মুনতাসির আলী

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮: খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আল্লামা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, আমরা যদি শুধু মসজিদ, খানকাহ্ নিয়ে বসে থাকি, ময়দানে না নামি, তাহলে আমাদের জন্য দূর্গতি নেমে আসবে। তাই আলেমদের উচিত, আল্লাহ্‌র এই জমিনে তাঁর খেলাফত কায়েমে মাঠে ময়দানে নেমে পড়া। আর এজন্যই খেলাফত মজলিস ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে। আসুন, আমরা উলামায়ে কেরামগণ ময়দানে নেমে পড়ি। আল্লাহ্‌র এই জমিনে তাঁর খেলাফত কায়েমের সংগ্রামে মাঠে ময়দানে কাজ করি। আলেম উলামাদের আর বসে থাকার সময় নেই। ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। গতকাল শনিবার (২৯শে সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা খেলাফত মজলিসের উলামা ও সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশের প্রধান বক্তা খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, ২০০১ সালের ফতোয়া আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে ছাত্র মজলিস কর্মী তাজুল ও সাইফুল আওয়ামী পেটুয়া বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণ করে ছিল। নাজিরুলের দুটি চোঁখ হারিয়ে ছিল। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল (রহ.) ও মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে (রহ.) জেলে রেখে ছিল। সে আন্দোলনের সূত্র ধরে তাদের পতন হয়ে ছিল। যে কারণে ২০০১ সালের নির্বাচনে তাদের আসন নেমে এসেছিল ৫৭টিতে। সময়ের ব্যবধানে তারা আবার ঘুরে দাড়িয়েছে। এখন তারা সেটাও ভূলে গিয়েছে, তারা যে মানুষ। পতন জেনেই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেঁচে নিয়েছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে যদি নির্বাচন দেয় তাহলে আওয়ামীলীগ ২০-৩০টির বেশি আসন পাবে না। তিনি আরো বলেন, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক সংগঠন। একটি আদর্শ সমাজ কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছে। একটি সুস্থ ধারার সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে খেলাফত মজলিস যাত্রা শুরু করে ছিল। চারদলীয় জোট থেকে ২০দলীয় জোট। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিল। খেলাফত মজলিস আজ একটি ইতিহাস।

km-bbariaব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেয মাওলানা আল-আমীন মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা পেশ করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ্, জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাপরিচালক আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খেলাফত মজলিসের সহ সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজলের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেয এমদাদ উল্লাহ্ সিরাজী, সাবেক জেলা সভাপতি ও ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলামের (রহ.) সাহেবজাদা হাফেয মুহাম্মদ অলি উল্লাহ্, জেলা সাধারণ সম্পাদক এস. এম শহিদ উল্লাহ্, খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল্লাহ্, জামিয়া সিরাজীয়া দারুল উলুম ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল মান্নান, মুহাদ্দিস মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, মুহাদ্দিস মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মুহাদ্দিস মাওলানা আইয়ূব আলী, খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরীর সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল আওয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আকবর হোসাইন, জেলা দায়িত্বশীল মুফতি গোলাম রাব্বানী, আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা ইয়াসীন আহমদ, নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা শাখার হাফেয মাওলানা আবদুর রহমান জসিম, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মুফতি আবদুল বারী, ২০০১ এর ফতোয়া আন্দোলন দু’চোঁখ হারানো বীর মাওলানা নাজিরুল্লাহ্, ছাত্র মজলিস কর্মী মাহদী হাসান তাসনীম প্রমুখ।