ঢাকা, ১৩ জুন ২০১৯: খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক যৌথ বিবৃতিতে আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী উত্থাপিত প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে বলেছেন, বিশাল অংকের ঋণনির্ভর এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন লাভ হবে না। ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে।
শুধু সূদ প্রদানে ৫৮ হাজার ২৮ কোটি টাকা অর্থাৎ বাজেটের ১০.৯% ব্যয় হবে। বৈদেশীক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা। বিশেষ করে, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে নিয়ে নিলে বেসরকারী ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাঁধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ট্যাক্স-ভ্যাটের অর্থ চলে যায় দুর্নীতিবাজদের হাতে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগনের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। করের আওতা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের উপর নতুনভাবে করারোপ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮১০কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী। প্রতি বাজেটেই সরকার সাধারণ জনগণের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। নতুন বাজেটের ফলে মোবাইল ব্যবহার ব্যয়, এলপি গ্যাস, চিনি, রড, বিভিন্ন গৃহস্থলী সামগ্রী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইত্যাদির দাম বাড়বে, এমনটি পোশাক ও পোশাক তৈরীর উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বুর্জোয়া বান্ধব এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। গরীব মারার এ বাজেট জনগণের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হবে না।