খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভা

ঢাকা, ১৫ জুন ২০১৯খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট জনবান্ধব নয়, দুর্র্নীতি বান্ধব হয়েছে। বাজেটে কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দিয়ে সরকার দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ট্যাক্স-ভ্যাটের অর্থ চলে যায় দুর্নীতিবাজদের পকেটে। বিশাল অংকের ঋণনির্ভর এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন লাভ হবে না। ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিবে ।  শুধু সূদ প্রদানে ৫৮ হাজার ২৮ কোটি টাকা অর্থাৎ বাজেটের ১০.৯% ব্যয় হবে। এ ধরণের ঋণনির্ভর দুর্নীীত বান্ধব বাজেট গ্রহনযোগ্য নয়। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার জনগণের পকেট খালি করার জন্যে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগনের উপর অতিরিক্ত কর আরোপের আয়োজন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮১০কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬১,১৯৮ কোটি টাকা বেশী। উচ্চাভিলাসী এ বাজেটে কোনভাবেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। তিনি বলেন, বাজেট দেয়ার পরে ইতোমধ্যেই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন বাজেটের ফলে মোবাইল, টকটাইম, এলপি গ্যাস, চিনি, রড, বিভিন্ন গৃহস্থলী সামগ্রী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইত্যাদির দাম বাড়বে, এমনটি পোশাক ও পোশাক তৈরীর উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গণবিরোধী এ বাজেট জনগণের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হবে না।আজ বিকাল ৫ টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মুহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুন্সী মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, হুমায়ুন কবির আজাদ, কাজী আরিফুর রহমান, আমীর আলী হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাসেত মুন্সী, এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ, ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।