নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের

ঢাকা, ৪ মার্চ ২০২০: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ভারতের দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যার দায় ভারত সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত মানুষের রক্তে রঞ্জিত, মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত। এ রকম একজন উগ্রসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ কোনভাবেই বাংলাদেশে দেখতে চায় না। অবিলম্বে উগ্রবাদী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে। জনগণের মতামতকে উপেক্ষ্ করে নরেন্দ্র মোদিকে যদি বাংলাদেশে আনা হয় তবে উদ্ভূত পরিস্থির সকল দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবীতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, খেলাফত আন্দোলনের (একাংশের) আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, দেওভোগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হালিম, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, সাহাব উদ্দিন খন্দকার, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, হুমায়ুন কবির আজাদ, মুফতি আজীজুল হক, হাজী হারুনূর রশীদ, এ্যাডভোকেট এস এম সানাউল্লাহ, ছাত্র মজলিস নেতা কে এম ইমরান হোসাইন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ আবদুল কাদের আরো বলেন, দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যা, মসজিদ-মাদ্রাসা ধ্বংস ও মুসলমানদের ঘর-বাড়ী, দোকান-পাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ গণহত্যার ঘটনার আন্তর্জাতিক বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী সফলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মুসলিম বিদ্বেষী রক্ত পিপাসু নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন প্রতিহত করতে হবে। আগামী ৬ মার্চ সমমনা ইসলামী দলসমূহ ঘোষিত রাজধানীসহ সারাদেশে গণমিছিলের কর্মসূচী সফল করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন বলেন, নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত নেতা। গুজরাটের কসাই এখন দিল্লীল ঘাতকে হিসেবে আভির্ভূত হয়েছেন। এরকম একজন কুখ্যাত লোককে মুজিব শত বর্ষের অনুষ্ঠানে ঢোকার সুযোগ দিলে ঐ অনুষ্ঠান কলঙ্কিত হবে। বাংলাদেশের মানুষ মোদিকে কোনভাবেই বাংলাদেশে দেখতে চায় না। পৃথিবীর যেকোন দেশের যেকোন ব্যক্তিকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া যেতে পারে কিন্তু মোদিকে মেহমান করা যাবে না।

মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, দেশে কে আসবে আর কে আসবে না তা ঠিক করবে জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ চায়না মোদি বাংলাদেশে আসুক। এরপরও সরকার জনমতকে উপেক্ষা করে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করলে সরকারকে জনরোষে পরতে হবে।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল বলেন, মুসলমানদের ইতিহাস বাদ দিলে দিল্লীর কোন ইতিহাস থাকে না। মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করলে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।