করোনা যোদ্ধা ডাঃ মঈন উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ খেলাফত মজলিসের
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২০: করোনাভাইরাসের দুর্যোগে সরকারী ত্রাণ বিতরণে চরম অনিয়মের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অভাবগ্রস্থ মানুষের মধ্যে সুষ্ঠূুভাবে ত্রাণ বিতরণের দাবী জানিয়ে খেলাফত মজলিস। খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের আজ প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবন আজ স্থবির। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছে। বহু খেটে খাওয়া মানুষ অনাহারে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এ সব অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই দু:সময়েও ত্রাণ বিতরণে চরম অনিয়ম ও গবীবের ত্রাণ চুরির ঘটনা ঘটছে। সরকারী ত্রাণ চুরি ও লোপাটের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অসহায় ও অভাবগ্রস্থ মানুষ ও পরিবারের কাছে সুষ্ঠূভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সেনাবাহিনীকে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব্ দিতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ্ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্সরাও সংক্রমিত হচ্ছে। সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মঈন উদ্দিনের মৃত্যু প্রমান করে করোনা মোকাবিলায় সরকারের তেমন কোন প্রস্তুতি ছিলো না। হাসপাতালে পিপিই ছাড়াই রোগিদের সেবা দিতে হয়েছে তাকে। স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতদের করোনা যোদ্ধা বলা হচ্ছে অথচ ডা: মইন উদ্দিন এয়ারএম্বুলেন্স বা আইসিইউ এম্বুলেন্সের সুবিধা পেলো না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ বিভাগের চরম অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে। সাহসী করোনা যোদ্ধা দায়িত্ববান চিকিৎসক ডাঃ মঈন উদ্দিনের ইন্তিকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি ও আল্লাহর কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকারকে চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। চিকিৎসা সেবার মহৎ পেশায় নিয়োজিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা কর্মীদের সাহস ও সতর্কতার সহিত অসুস্থ মানুষকে সেবা প্রদান করতে হবে। লকডাউনের মধ্যে খাদ্য সংকটসহ নানা ধরণের সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকার ও দেশের সামার্থবানদের অসহায় মানুষের পশে দাঁড়াতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের আর্থিক প্রনোদনা প্যাকেজগুলো মূলত: বিভিন্ন ঋণ প্যাকেজ। কিন্তু সাধারণ অভাবগ্রস্থ বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরো সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে হবে। সীমিত আয়ের মানুষ ছাড়াও প্রবাসী আয় নির্ভর জনগোষ্ঠী, গণমাধ্যম কর্মী, কাওমি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী, মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা করতে হবে।