ওয়াসার পানির বিল ২৫ শতাংশ ও বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের

ঢাকা, ০১ জুন ২০২০: আবাসিক পর্যায়ে ঢাকা ওয়াসার পানির বিল ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, করোনভাইরাসের মধ্যে ওয়াসার পানির দাম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিক। ৭ মাস পূর্বে ওয়াসার পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার পানির বিল ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লা এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের দৃর্যোগের কারণে মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। বিগত ৩ মাস যাবৎ মানুষ আয় রোজগারহীন। এই অবস্থায় সরকার ওয়ার পানির বিল বাড়িয়ে জনগণের উপর মারাত্মক জুলুম করেছে। ওয়াসার লুটপাট, চুরি বন্ধ না করে সাধারণ জনগণের পকেট কাটায় ব্যস্ত সরকার।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ওয়াসার পানির বর্ধিত ২৫ শতাংশ মূল্য প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। সরকার যদি পানির বর্ধিত মূল্য না কমায় তাহলে সরকারকে জনরোষে পরতে হবে।

এদিকে বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিকে সর্ম্প্ণূ অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবী পুনর্বক্ত করে খেলাফত মজলিস নেতৃদ্বয় বলেন, করোনাভাইরাসরে প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চালাতে গিয়ে কম যাত্রী বহনের অযুহাতে বাস ভাড়া বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। পরিবহন মালিকদের খরচ সংকুলন না হলে সরকার তাদের প্রোণদনা দিতে পারে। যেহেতু বিশ^ বাজারে জ¦ালানী তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে তাই বাস ভাড়া না বাড়িয়ে সরকার জ¦ালানী তেলে দাম ৬০ ভাগ কমাতে পারে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, তিন মাস লকডাউনের ফলে সরকারী চাকুরীজীবী ছাড়া সকল পেশার মানুষের আয় কমে গেছে। বেসরকারী চাকুরীজীবিরা অনেক ক্ষেত্রেই বেতন পাননি বা অর্ধেক পেয়েছেন। আর যারা দিন আনে দিন খায় তারা নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সাধারণ জনগণ এখন সর্বশান্ত। এ অবস্থায় যাতায়াতের জন্য বাস ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা’র শামিল। তাই বাস-মিনিবাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সরকার এভাবে জনগণের উপর জুলম অব্যভহত রাখলে পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। জনগণের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।