গার্মেন্টস শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ খেলাফত মজলিসের। করোনা দুর্যোগের মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক

ঢাকা, ৬ জুন ২০২০: খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক। বিগত তিন-চার মাস যাবৎ লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ যখন নিদারুণ অভাবে কাটাচ্ছে তখন বাস-মিনি বাসের ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এ ছাড়া এ লকডাউনের মধ্যেই ঢাকা ওয়াসার পানির বিল ২৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। এ অভাবের মধ্যে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, পানির দাম বৃদ্ধি জনগণের উপর সরকারের অমানবিক শোষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এদিকে সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একবার সাধারণ ছুটি দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আবার নতুনভাবে লকডাইনের চিন্তা করা হচ্ছে। কোনরকম সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আজ বিকাল ৩টায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাসউদ খান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, মাওলানা তোফাজ্জ¦ল হোসাইন মিয়াজী, প্রশিক্ষন সম্পাদক- অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, মাওলানা শামসুজ্জামান চেীধুরী, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, বুরহান উদ্দিন সিদ্দকিী, অধ্যাপক আবু সালমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, এবিএম সিরাজুল মামুন, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাস্টার আবদুল মজিদ, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মাওলানা আইউব আলী, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাওলানা খুরশীদ ্অলম, এম সদরুজ্জামান খান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, এম মোর্শেদ, মুফতি সিহাবুদ্দিন, মুফতি সাইয়্যেদুর রহামন, মুহাদ্দিস এস এম সালাহ উদ্দিন, মাওলানা কাজী আসাদউল্লাহ, মাওলানা আবদুল হাই প্রমুখ।

বৈঠকে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এ দু:সময়ে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি করা হবে অত্যন্ত অমানবিক। যে শ্রমিক সমাজ বছরের পর বছর তাদের শ্রম-ঘাম দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখলো তাদের প্রতি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এবং সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। তাই করোনার এ মহাদুর্যোগে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ছাটাইয়ের চিন্তা বাদ দিতে হবে। শ্রমিকদের প্রতি মানবিক হতে হবে। সকল শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে প্রনোদানা দিতে হবে।

বৈঠকে এসএসসি- দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, যারা এসএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের এইচএসসি-আলিমে ভর্তি শুরু করতে হবে, তা অনলাইনেই হোক আর অফলাইনেই হোক। এসএসসি সমমনান উত্তীর্ণরা উপরের ক্লাসে ভর্তি হতে পারলে তারা বাসায় বসে হলেও পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারবে।

বৈঠকে করোনা দুর্যোগে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও অভাবি মানুষের মাঝে সরকার, বিভিন্ন সংগঠন ও দেশের সামার্থবানদের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে সরকারী ত্রাণ চুরির পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবী জানানো হয়।