খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর, ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিনের জানাজা সম্পন্ন । বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ
ঢাকা, ৩ এপ্রিল ২০২১: খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন আজ ৩ এপ্রিল রাত ২টায় রাজধানীর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। বিগত ২ সপ্তাহ যাবৎ তিনি প্রথমে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ও পরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়ে রেখে যান। বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রগতিতে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠাল লক্ষ্যে উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবিদের সমন্বিত ধারা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। রাজপথের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। আজ সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচা জামে মসজিদে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে তাঁর গ্রামের বাড়ী সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড: ঈসা শাহেদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিশিষ্ট মুফাচ্ছেরে কুরআন মাওলানা তফাজ্জল হক আজিজ, বারিধারা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী, নেজামে ইসলামী পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মরহুমের ছোট ছেলে এহসানুল হাদী।
অন্যান্যের মধ্যে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ডক্টরস সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা: আবদুল্লাহ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, এডভোকেট মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলান রুহুল আমিন সাদী, ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসেন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি হাজী নুর হোসেন, জামেয়া মোহাম্মদিয়ার মুহাদ্দিস মাওলান ফয়সাল আহমদ, খেলাফত মজলিসের আলহাজ¦ আবু সালেহীন, আবু আদিবাহ, মুফতি ওযায়ের আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, ডা: রিফাত হোসেন মালিক, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতী সাইয়্যেদুর রহমান, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাইফ উদ্দীন আহমদ খন্দকার, মুহাম্মদ শাহীন, আমির আলী হাওলাদার, কেএম ইমরান হোসাইন প্রমুখ সহ বহু মুসল্লী জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
সেগুনবাগিচায় জানাজা শেষে ফ্রিজিং গাড়ীতে করে মরহুমের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ী ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মরহুমের আত্মীয়-স্বজন ও মরহুমের কয়েক দশকের আন্দোলন-সংগ্রামের সাথী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। সাথে ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসেন, ছাত্র মজলিস নেতা মুহাম্মদ শাহিন, শ্রমিক মজলিসে অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা খালেদ সানোয়ার-সহ আরো অনেকে। এদিকে সুনামগঞ্জ যেতে যেতে পথে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজরে, সিলেট, সুনামগঞ্জ হতে খেলাফত মজলিসের বহু নেতাকর্মী লাশের গাড়ী বহরে শামিল হন।
বিকাল সাড়ে ৫টায় দিকে গোবিন্দঘঞ্জ পয়েন্টে হাজার হাজার মুসল্লীর অংশগ্রহনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাজায় শরীক ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, যুগ্মমহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ এ এ তাওসিফ, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদল কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট এহসানুল মাহবুব যুবায়ো, মাওলানা হাবিবুর রহমান, গণেশপুর মাদ্রাসার মুহতামিম শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুল হান্নান, বেফাকের সহসভাপতি ও গওহরপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার সিলেটের মুহতামিম মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, আবদুস সালাম আল-মাদানী, সিলেট জজকোর্টের এপিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম, ছাতক উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান বকুল, খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যক্ষ শামসুজ্জান চৌধুরী, মাওলানা আইউব আলী, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, প্রভাষক আবদুল করিম, মাওলানা ঈমাম উদ্দিন, মাওলানা আহমদ বিলাল, সাখাওয়াত হোসেন মোহন, মাওলান জয়নুল ইসলাম, মনসুরুল আলম মনসুর, মাওলানা নেহাল আহমদ, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা আবদুল খালিক, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াস, এ কেএম আবদুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আখতার হোসাইন, মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, ছাত্র মজলিস নেতা আফজল হোসাইন কামিল, মো ফখরুর ইসলাম, মোঃ এনামুল ইসলাম, শাহ কামাল সাজু, জাকারিয়া হোসেন জাকির প্রমুখ।
এরপর বাদ মাগরিব গ্রামের বাড়ী দিঘলবাগে নিয়ে পারিবারিক গোরস্তানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবিদের সমন্বিত ধারা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সংগ্রামী জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন।
শোক: খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর, ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। প্রদত্ত এক যৌথ শোক বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন ইসলাম প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক আন্দোলনের একজন সক্রিয় ও যোগ্য নেতা ছিলেন। বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রগতি, খেলাফত প্রতিষ্ঠাল লক্ষ্যে উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবিদের সমন্বিত ধারা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। রাজপথের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যতা পূরণ হবার নয়। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও আলেম সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নেতৃদ্বয় মরহুম মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিবের জন্য দোয়া করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর, ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিনের ইন্তিকালে আরো শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা জয়নুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুল করিম, মুফতি মুহাম্মদ হুজাইফা, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সোহাইল আহমদ, মাওলানা আজীজুল হক, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ, মনসুরুল আলম মনসুর, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসেন। শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাজী নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাক মোঃ আবুল কালাম, ডক্টরস সোসাইটি অব বাংলাদেশ- এর সভাপতি ডাঃ আবদুল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা: আখলাক আহমদ। ব্যাংকার্স সোসাইটির সভাপতি আবদুস সামাদ সরকার ও সেক্রেটারি মুফতি সাইফুল হক। জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি এভভোকেট এককেএম বদরুদ্দোজা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান। দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মুফতি আনিস আনসারী ও নির্বাহী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।