ঢাকা, ১০ জুলাই ২০২১ :অবনতিশীল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভব থেকে দেশ ও বিশ্বাসীর মুক্তির জন্য এবং রূপগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহতদের জন্য আগামী ১৬ জুলাই শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া কর্মসূচী ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস।

খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন আজ প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভব আশঙ্কাজনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক মগবাজার বিস্ফোরণ বিস্ফোরণ, রূপগঞ্জের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত। লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে। এ সংকটজনক অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। বেশী বেশী তাওবাহ- ইসতিগফার করতে হবে। অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, জুলুম নির্যাতনের পথ বন্ধ করে জাতীয়ভাবে সবাইকে তাওবাহ করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার বলি হচ্ছে জনগণ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনায় সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহীত পদক্ষেপ যথার্থ ও যথেষ্ট নয়। সর্বত্র সমন্বয়হীনতা প্রকট। খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় লকডাউনে কর্মহীন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌছে দেয়ার প্রয়োজন ছিলো। খাবারের ব্যবস্থা না করে লকডাউন দিয়ে মানুষকে আটকে রাখার চেষ্টা অমানবিক ও অর্থহীন। সরকারের অদুরদর্র্শিতার কারণে করোনার টিকা দান কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পরেছে। স্বাস্থ্য বিভাগে অব্যবস্থপনা ও সীমাহীন দুর্র্নীতির কারণে মানুষ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট, অক্সিজেন সংকটে বহু রোগী মারা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা দূর করে চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। দ্রুত সময়ে সবার জন্য বিনামূল্যে মানসম্মত টিকা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি পরিপালনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সরকারী আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে একর পর এক অগ্নিকান্ডসহ বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এ ক্ষেত্রে কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় যেসব সুবিধা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন তার তদারকির ক্ষেত্রে সরকার নির্বিকার। তাই সরকার এসব দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। রূপগঞ্জে জুস ফ্যাক্টরির অগ্নিকান্ড ও ব্যাপক প্রাণহানীর কারণ চিহ্নিত করতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এ ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।