ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০২১ : পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের-সহ গ্রেফতারকৃত উলামাদের মুক্তি দাবী করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, ড. আহমদ আবদুল কাদের একজন ভদ্র ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। তাঁর মত একজন বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ঈদুল আযহার আগেই ড. আহমদ আবদুল কাদের-সহ গ্রেফফতারকৃত উলামাদের মুক্তির জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় জুম এ্যাপে আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংগঠনের নায়েবে আমীর, যুগ্মমহাসচিব, সম্পাদকমন্ডলী ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ সংযুক্ত ছিলেন। বৈঠকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভব থেকে মুক্তি ও সাম্প্রতিক রূপগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহতদের জন্য আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া কর্মসূচী সফলের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আমিরে মজলিস বলেন, বর্তমানে এক মহাসংকট চলছে। করোনাভাইরাসের এই দু:সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অভাবী মানুষের কাছে খাদ্যসহ আর্থিক সহায়তা পৌছানো জরুরী। মানুষকে বাঁচাতে হবে। হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট, অক্সিজেন সংকটে রোগী মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরার উপক্রম। সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। গুম, খুন, রাহাজানি বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় দেশবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পশু কুরবানী দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। খামারীরা যাতে পশুর ন্যায্য মূল্য পান সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর দেশের চামড়া শিল্প প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিগত বছরগুলোতে কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়নি। গত বছর বহু চামড়া পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে, মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। চামড়ার হকদার গরীব-ইয়াতিমরা এ বছর যাতে চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায় সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।