ঢাকা, ১০ আগস্ট ২০২১: যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কওমী মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। এ ছাড়া গণ টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রায় সকল ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে একদিকে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-সহ বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়। অথচ বাংলাদেশের চেয়েও মারাত্মক করোনা আক্রান্ত ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতেও এত দীর্ঘসময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। আর যেহেতু ১১ আগস্ট থেকে সারাদেশে সব কিছুই খুলে দেয় হচ্ছে। তাই আর বিলম্ব না করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দুই শিফটে নির্ধারিত দূরত্বে ছাত্র/ছাত্রীদের আসন বিন্যাস কারা যেতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত করুন। বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা ও হেফজখানাগুলো আগে খুলে দিন। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ ছাত্র/ছাত্রী আবাসিক হলে থাকার কারণে বাইরে যাতায়াত কম থাকে বিধায় সংক্রমণ ঝুঁকিও কম থাকে। তাছাড়া করোনাকালীন সময়েও গত রমজানের পূর্ব পর্যন্ত মাদ্রাসাগুলো খোলা ছিল কিন্তু সেখানে ব্যাপক সংক্রমণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গণটিকা দান কর্মসূচিতে দেশে বিভিন্ন স্থানে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। টিকা দিতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ দু’তিন দিন কেন্দ্রে গিয়েও টিকা পাচেছ না। গণ টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে বিরাজমান এসব অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে অবিলম্বে সকল নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন করোনা টিকা নিশ্চিত করতে হবে।