খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য সরকারের ত্রাণ তৎপরতা খুবই অপ্রতুল। পরপর দু’দফা বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে সরকারের পক্ষ থেকে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা একটা উপজেলার জন্যও যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে বন্যাপ্লাবিত সিলেট অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা ও চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা সিলেট অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্বানুভূতি থেকেই খেলাফত মজলিস এর পক্ষ থেকে সীমিত সামর্থ নিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তিনি সমাজের সামর্থবান সবাইকে দুর্গত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবন আহবান জানান তিনি।

আজ (২৮ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে খেলাফত মজলিস বালাগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে স্থানীয় মুরার বাজার আছিয়া কমিউনিটি সেন্টার ত্রাণ বিতরণ পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে আজ সকাল থেকে বন্যাদুর্গত সুনামগঞ্জের কয়েকটি স্পটে সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাধ্যে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

খেলাফত মজলিস বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হুসাইন আহমদ মিসবাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম অফিক ও গিয়াস উদ্দিন নোমানের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, ঢাকা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সিলেট জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, বালাগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টা চাম্পারকাদি মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুস শহীদ চাম্পারকান্দী, জেলা বায়তুল সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শিব্বির আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলার ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ আলী আসগর, আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আব্দুস শহীদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য উপস্থিত ছিলেন মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাস্টার মুহিবুল আলম, মাওলানা আসাদ উজ্জামান, মাওলানা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।