আজ ০৮ ডিসেম্বর খেলাফত মজলিসের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৮৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সম্মেলনের মাধ্যমে খেলাফত মজলিসের যাত্রা শুরু হয়। খেলাফত মজলিসের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসী ও সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আমীরে মজলিস অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

আজ প্রদত্ত এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, দেশ আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এখানে রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভি:শ্বাস উঠেছে। চারদিকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গুম, হত্যা, দুর্নীতি, দু:শাসন, অব্যস্থাপনা আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি হুমকীর সম্মুখীন। বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যসূচীতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-বিশ্বাসের বিপরীত বিষয়াদি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর বারবার আঘাত হানা হচ্ছে। এ অবস্থা কোনভাবেই দীর্ঘদিন চলতে পারে না।

খেলাফত মজলিস নেতৃদ্বয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, সংকট উত্তরণে প্রয়োজন একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের। খেলাফত মজলিস সে পরিবর্তনের লক্ষ্যে
ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেইে খেলাফত মজলিস দেশ, জাতি ও ইসলামের স্বার্থে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। ময়দানে
ত্যাগ-কুরবানীল নজরানা পেশ করছে। ইসলামী আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক একটি জনকল্যাণমূলক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় ৭ দফা মৌল কর্মসূচী ও ২৫ দফা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে সামনে রেখে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সুদীর্ঘ ৩৩ বছরে খেলাফত মজলিস দেশের আলেম-উলামা, দ্বীনদার-বুদ্ধিজীবি, পেশাজীবি, শ্রমজীবি সহ সকল স্তরের মানুষের একটি কাক্সিক্ষত সংগঠনের পরিণত হয়েছে। এই সংগঠনের অগ্রযাত্রায় সবাইকে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

কর্মসূচি: খেলাফত মজলিসের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর ভোরে সংগঠনের জেলা-মহানগরী, উপজেলা-থানাসহ সকল কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা-মহানগরী, উপজেলা-থানাসহ শাখায় শাখায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ, আলোচনা সভা, র‌্যালী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে