শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে – ড: আহমদ আবদুল কাদের
ঢাকা, ০১ মে ২০২৩: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের জন্য সবাই আন্দোলন করছে। শ্রমিক দিবস আসলে সরকার ও মালিকপক্ষ বক্তব্য বিবৃতি দিলেও কার্যত তারা শ্রমিক বান্ধব নয়। দেশের যে উন্নতি ও রাজস্ব আয় হচ্ছে তার অধিকাংশ দেশের শ্রমজীবি এবং প্রবাসে কর্মরত শ্রমিকদের উপার্জিত আয়ের মাধ্যমে হচ্ছে। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করছে শ্রমিকদের প্রচেষ্টার উপর। তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন রুদ্ধ করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। তাদের চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। যখন তখন ছাটাই করা বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ২৫হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
আয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প-কারখানার মালিকানার একটি অংশও তাদের দিতে হবে। ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে সম্ভব ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিক-মালিক মিলে দেশের উন্নতি সাধন করা। সরকার আইন করে শ্রমিকদের আন্দোলন নিষিদ্ধ করার চক্রান্ত করলে শ্রমজীবি মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে।
শ্রমিক মজলিসের উদ্যোগে ১লা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও র্যালীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক আবদুল করিমের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েব আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী যুব মজলিসের আহ্বায়ক ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, শ্রমিক মজলিসের সাবেক সভাপতি হাজী নুর হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী।
শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবউদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফউদ্দিন আহমদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক, সহ-সভাপতি মাওলানা শরিফুল ইসলাম, জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরাম (জাসাফ) এর সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান, ইসলামী যুব মজলিসের যুগ্ম-সচিব এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, মুহাম্মদ সালমান প্রমুখ।
শ্রমিক মজলিসের দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মো: সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ কবির হোসেন, মাওলানা শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় অফিস ও প্রচার সম্পাদক কবি খালেদ সানোয়ার, কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ওবায়ে উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাসিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মতিউর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবদুল কাইউম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইউনুস আলী, উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা আতাউল হক, সাবের হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালী বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সমাপ্ত হয়।