ঢাকা, ২৩ মে ২০২৪:
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রম অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ সংকট নিরসনে সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এর প্রভাবে আমদানী ব্যয়ের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতে একের পর এক কেলেংকারির ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে। জনগণের আমানত লুটপাট হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নির্বিকার। বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বকীয়তা হারিয়েছে। রিজার্ভ কমে এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানী ব্যয় মিটানো সম্ভব নয়। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন না। সরকারের সামগ্রীক আয়-ব্যয় এখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। সামনের বাজেটে ভর্র্তুকি কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের ঘাড়ে ঋণ পরিশোধের দায় চাপাতে চায় সরকার। এই অবস্থা থেকে দেশবাসী আজ মুক্তি চায়।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ¦ আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবু সালমান, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা: আবদুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।