ঢাকা- ২২ এপ্রিল ২০২৪: ফরিদপুরের মধুখালীতে মুসলিম শ্রমিকদের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হব। এ নিয়ে কোন রকম সময়ক্ষেপন বা আইওয়াশ দেশবাসী মেনে নিবে না। সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে উগ্র হিন্দু গ্রামবাসীর তাণ্ডবে দু’জন মুসলিম তরুণ হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং প্রশাসনের তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস।
প্রদত্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ৯২ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। এখানে সংখ্যালঘু হিন্দু সহ অন্যান্য সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মকর্ম পালন করতে পারছে। কিন্তু সাধারণ হিন্দুদের উস্কানী দিয়ে কারা উগ্রতার বিষবাষ্প এখানে ছড়িয়ে দিতে চায় প্রশাসনকে সুষ্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তা নির্মূল করতে হবে।
মন্দিরের প্রতিমায় আগুন কিভাবে লেগেছে বা কারা লাগিয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট না হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ। ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিন্দু গ্রামবাসী সেই অপরাধ সংঘটিত করেছে। উক্ত ঘটনায় সেখানে নির্মাণকাজে কর্মরত ২জন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও ২ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। এমনকি মুমূর্ষু শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখার মত দু:সাহস দেখানো হয়েছে।
আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং উস্কানীদাতা ও হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারী প্রভাবশালী যারাই হোক না কেন সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত সফল হতে দেয়া যাবে না। উগ্র হিন্দুত্ববাদের ঠাই বাংলাদেশে হবে না। প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে বাংলাদেশে এই উগ্রবাদীতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা জনগণ ক্ষমা করবে না। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সরকারকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ফরিদপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদ্ন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানে কোনরকম টালবাহানা করা হলে জনগণ তার সমুচিত জবাব দিবে।