সুইডেনের উগ্র ডানপন্থী দলের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুর্কী দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সে সময়ে তার দলের প্রায় ১০০জন সমর্থক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে প্রতিরক্ষা দেয়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

আজ (২৩ জানুয়ারি) সোমবার সহ-প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত শেষ আসমানী গ্রন্থ। মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লা উপর এই গ্রন্থ নাযিল হয়। এই গ্রন্থ বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ। কোটি কোটি হাফেজে কুরআন এই গ্রন্থ মুখস্ত করে তাঁদের হৃদয়ে ধারণ করেন। মুসলমানদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এই পবিত্র গ্রন্থের বিধান মেনেই পরিচালিত হয়। অথচ এক বর্ণবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিকে পবিত্র কুরআন পোড়ানো অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম গর্হিত কাজ করেছে। মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এটি মুসলমানদের নিশানা ও পবিত্র মূল্যবোধের চরম অবমাননা। অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে। নতুবা মুসলিম বিশ্ব সুইডেনকে বয়কট করবে।