রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্যে গভীর নলকূপ, সেনিটেশন ব্যবস্থা ও এতিমখানা স্থাপন করবে খেলাফত মজলিস
ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭: খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশ কাটিয়ে দেয়া মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি’র বক্তব্য বিশ্ববাসীকে হতাশ করেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেয়া সু চি’র ভাষণে সামরিক বাহিনীর বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সু চি তাঁর ভাষণে একবারের জন্যেও ‘রোহিঙ্গা’ শন্দটি উচ্চারণ করেননি। আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চলছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আক্রমনের কারণে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের শ্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে। এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিকে অং সান সু চি সাদামাটাভাবে নেয়াটা অত্যন্ত অমানবিক। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠিকে রক্ষার জন্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে হবে। গণহত্যার হাত থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে অবিলম্বে মিয়ানমারের আরাকান তথা রাখাইন প্রদেশে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মোতায়েন করতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বায়তুলমাল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, মাওলানা নোমান মাযহারী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, মাওলানা তোফাজ্জল হোসনে মিয়াজী, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহনকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বিশেষকরে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্যে গভীর নলকূপ স্থাপন, সেনিটেশন ব্যবস্থা স্থাপন ও এতিম রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্যে এতিমখানা স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
বৈঠকে সম্প্রতি চালের বাজারে অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। চালের দাম রোকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন প্রতি কেজি চালের দাম ৭০টাকায় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ অবস্থায় চালের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষতার মধ্যে নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান হয়।