মাওলনা মোহাম্মদ ইসহাক আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনঃনির্বাচিত

ঢাকা, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯ঃ খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে জাতির সাথে এক মহাপ্রতারণা করা হয়েছে। সরকারী দল, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ প্রশাসনের সম্মিলিত ছকে নির্বাচনের নামে যা ঘটানো হয়েছে তাতে নির্বাচনী ব্যবস্থার কবর রচনা করা হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশ এক গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে। এভাবে জালিয়াতি আর নীলনক্সার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কোনভাবেই জনগণের সরকার হতে পারে না। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। আবারো প্রমানিত হয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধিনে কোনভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই দেশ, জাতির ও গণমানুষের অধিকারের স্বার্থে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মহাপ্রহসনের নির্বাচনকে বাতিল করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে পুনরায় জাতীয় নির্বাচনের দাবী আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরস্থ মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে মাাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খেলাফত মজলিসের আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহন করেছেন। শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত আমীরে মজলিসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ। শূরা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত নবনির্বাচিত মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।

অধিবেশনে ২০১৯-২০ সাংগঠনিক সেশনের জন্যে গঠিত ৮৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ হচ্ছে:
অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক- আমীরে মজলিস- , অধ্যক্ষ মাসউদ খান- নায়েবে আমীর, মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান- নায়েবে আমীর, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন- নায়েবে আমীর, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ-  নায়েবে আমীর, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ- নায়েবে আমীর, জনাব আবদুল্লাহ ফরিদ- নায়েবে আমীর,  অধ্যাপক সিরাজুল হক- নায়েবে আমীর, ড. আহমদ আবদুল কাদের- মহাসচিব, মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন- যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ- যুগ্মমহাসচিব,  এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন-  যুগ্মমহাসচিব, শেখ গোলাম আসগর- যুগ্মমহাসচিব, জনাব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী- যুগ্মমহাসচিব, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী- যুগ্মমহাসচিব, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল- সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী- সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিউল আলম- সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী- সাংগঠনিক সম্পাদক, মাস্টার সাইফ উদ্দিন- সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম- সহসাংগঠনিক সম্পাদক,  মাওলানা নূরুল আলম আল-মামুন- সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক,  জনাব বুরহান উদ্দিন সিদ্দিকী- সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম- প্রশিক্ষণ সম্পাদক, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান- বায়তুলমাল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল- দফতর ও প্রচার সম্পাদক, জনাব মোঃ ফয়জুল ইসলাম- সহ-দফতর সম্পাদক, অধ্যাপক কে. এম. আলম- প্রকাশনা সম্পাদক, মাওলানা নোমান মাযহারী- উলামা বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা নূরুজ্জামান খান- দাওয়াহ সম্পাদক, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী- শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, ডাঃ শরীফ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, মিসেস উম্মে সুমাইয়া- মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, মিসেস রায়হানা লোপা -মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদিকা, জনাব এবিএম সিরাজুল মামুন- সদস্য, মাস্টার আবদুল মজিদ- সদস্য, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া- সদস্য, মাওলানা সাঈদ আহমদ- সদস্য, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী- সদস্য, অধ্যাপক বজলুর রহমান- সদস্য, মাওলানা আইউব আলী- সদস্য, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী- সদস্য, মাওলানা আহমদ বিলাল- সদস্য, অধ্যাপক মাওলানা এএসএম খুরশীদ আলম- সদস্য, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক- সদস্য,  আলহাজ্ব সদরুজ্জামান খান – সদস্য, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন-  সদস্য, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান – সদস্য, প্রভাষক মোঃ আবদুল করিম – সদস্য, অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব আলম – সদস্য, মুফতি মোঃ সাইয়্যেদুর রহমান- সদস্য,  মুফতি শিহাবুদ্দিন- সদস্য, মুফতি ওজায়ের আমীন- সদস্য, হাজী নূর হোসেন- সদস্য,  মাওলানা কাজী আসাদ উল্লাহ- সদস্য, মাওলানা আবদুল হাই – সদস্য, মিসেস সুরাইয়া মাসুদ- সদস্যা, মিসেস রৌশন আরা- সদস্যা, মিসেস সুরাইয়া খন্দকার- সদস্যা, মিসেস ফরিদা জামান- সদস্যা, মিসেস মমতাজ পারভীন- সদস্যা, মিসেস আয়েশা খাতুন- সদস্যা, মিসেস তামিমা খানম- সদস্যা, মিসেস শিরিন চৌধুরী- সদস্যা,  মিসেস সুমাইয়া বিলকিস- সদস্যা, আলেমা সালমা আকতার- সদস্যা, মিসেস শাহিদা আকতার – সদস্যা, মিসেস মুহসিনা তাকিয়া স্বপ্না- সদস্যা, মিসেস উম্মে সালমা- সদস্যা, মিসেস উম্মে মারিয়াম- সদস্যা,  মিসেস জুবাইদা বেগম- সদস্যা, এডভোকেট তহুরা বেগম- সদস্যা, মিসেস ইসমত আরা- সদস্যা, মিসেস নার্গিস পারভীন- সদস্যা, ডাঃ নূর ফাতেমা- সদস্যা, ইঞ্জিনিয়ার সাইমাতুল হাসনা- সদস্যা, আলেমা হালিমা সাদিয়া- সদস্যা, মিসেস হালিমা খাতুন – সদস্যা, মিসেস আল-সিদ্দিকা সেতারা- সদস্যা, মিসেস সায়েরা খাতুন-  সদস্যা,  মিসেস মুহিবুর রহমান- সদস্যা, মিসেস মাহফুজা বেগম- সদস্যা, মিসেস লুলূ আর মারজান- সদস্যা।

অধিবেশনে হযরত মাওলানা খলীলুর রহমান বর্ণভী- মৌলভীবাজার, মাওলানা রশীদূর রহমান ফারুক বর্ণভী, এডভোকেট আহমদ সগীর- চট্টগ্রাম, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস- লক্ষ্মীপুর, ডাঃ আবদুল্লাহ খান- ঢাকা, মাওলানা মাওলানা আবদুল বারী ধর্মপুরী- মৌলভীবাজার, মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী- বি-বাড়িয়া, হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম-চট্টগ্রাম, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক- ঢাকা, প্রিন্সিপাল মাওলানা সাফি উদ্দিন ভূঁঞা- ঢাকা, মাওলানা তৈয্যেবুর রহমান- বাগেরহাট, মাওলানা মুহাম্মদ সালেহ- খুলনা, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল- গোপালগঞ্জ, আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান- সিলেট, মাওলানা আবদুল মান্নান-ঢাকা, সৈয়দ মুহিবুর রহমান- সিলেট, মাওলানা মাহবুবুর রহমান- খুলনা, হাফিজ মাওলানা নূরুজ্জামান-সিলেট, ড. আবদুল লতিফ মাসুম- জাবি, এডভোকেট এ কে এম বদরুদ্ধোজা- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম- চাঁদপুর, মাওলানা আবদুল কাইউম সুবহানী- ঢাকা, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী-কিশোরগঞ্জ, অবদুস সামাদ সরকার- ঢাকা, মাওলানা মুফতি ইব্রাহীম খলীল- পাবনা, ড. ইউসুফ আলী-গাজীপুর, মুফতি আবদুল বাতেন- মানিকগঞ্জ, মাওলানা বুরহান উদ্দিন- চট্টগ্রাম, মাওলানা মুহাম্মদ আলী- রংপুর, মাওলানা রিয়াজুল হক কাসেমী- কুড়িগ্রাম, মাওলানা তাজুল ইসলাম-কুমিল্লা, মাওলানা হারুনুর রশীদ- নোয়াখালী, জিয়াঊল হক শামীম- ঢাকা, অধ্যাপক আলী রেজা- গোপালগঞ্জ, ডাঃ আবু আহমদ, অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর- সিলেট, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম-খুলনা ও মাওলানা আবু তাহের-লক্ষ্মীপুর প্রমুখকে নিয়ে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাব ও ১. ৩০ ডিসেম্বরের প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুন:নির্বাচন প্রসঙ্গ, ২. নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৪ সন্তানের জনীনর উপর সরকারী দলের লোকদের পৈচাশিক নির্যাতন প্রসঙ্গ, ৩. তৈরী পোশাক শিল্প শ্রমিকদের মজুরী কাঠামো নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ প্রসঙ্গ, ৪. চাল, ডালসহ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রসঙ্গ, ৫. দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে মোট ৬টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।