খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নাম। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের শান্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিয়েছে ইসলাম। ইসলামী ড্রেসকোড নারী-পুরুষের শালীনতা, সৌন্দর্য ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতীক। নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে কুরআনে বর্ণিত শিক্ষা অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। ইসলামী অর্থনীতিতে সুদ ও বৈষম্যের কোন স্থান নেই। জাকাতের সুষ্ঠ বণ্টন দারিদ্র্য বিমোচনের সর্বোত্তম পন্থা। মুসলিম রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী ইসলামী রাজনীতি। ইসলামী রাজনীতি আল্লাহর একত্মবাদ প্রতিষ্ঠার কথা বলে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদর্শ অনুসরণের কথা বলে। রাষ্ট্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এর বিকল্প নেই। লোডশেডিং, পরিবহন ভাড়া ও দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ বর্তমানে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। পাশাপাশি কলহ, বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা সহ পারিবারিক-সামাজিক অশান্তিও তীব্রতর হচ্ছে। ইসলামী জীবনব্যবস্থার পরিপূর্ণ অনুসরণই পারে আমাদের সকল অশান্তি দুর করে দুনিয়া ও পরকালীন মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের মাসিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. শরীফ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক, ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ওযায়ের আমীন, অধ্যাপক আহমদ আসলাম, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, হাজী নুর হোসাইন, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, শাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা. আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন ও মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।

নির্বাহী পরিষদের এক প্রস্তাবে সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও গোলা নিক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই আক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সরকার ও সেনাবাহিনীর নিকট জোর দাবি জানানো হয়।