খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের দৌরাত্ম্যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা আজ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। আবাসিক হলগুলোর সিট বাণিজ্য, ক্যান্টিনের চাঁদাবাজী, সাধারণ শিক্ষার্থীদের টর্চারসহ নানান অপকর্মের খবর মিডিয়ায় একের পর প্রকাশিত হলেও সরকার ও প্রশাসন তা প্রতিরোধে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে করে ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে, আরো বড় অন্যায় সংঘটিত করছে। একটি সভ্য দেশের শিক্ষাঙ্গনে এরকম অরাজকতা আর চলতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে। সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম-মৃত্যু স্মতিবিজড়িত মাস রবিউল আউয়াল শুরু হয়েছে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মহানবীর জীবনাদর্শ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদ এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, অধ্যাপক আজিজুল হক, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, শাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।