খেলাফত মজলিসের নতুন কমিটি: মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব নির্বাচিত
দেশে নাস্তিক্যবাদী কোন শিক্ষাক্রম মেনে নেয়া হবে না – মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী
ঢাকা, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩: খেলাফত মজলিসের নবনির্বাচিত আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে নাস্তিক্যবাদী কোন শিক্ষাক্রম মেনে নেয়া হবে না। ভুল, বিভ্রান্তিকর ইতিহাস ও কাল্পনিক দেবদেবীর মূর্তিতে ভরা পাঠ্যপুস্তক বাতিল করতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রেখে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিদায়ী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে দ্বীন ইসলাম। হিম্মতের সাথে ময়দানে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য মানুষকে দ্বীনী আন্দোলনে সংগঠিত করতে হবে। আমাদেরকে সব সময় মজলুমের পক্ষে ও জালেমের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ সীগাল রেস্টুরেন্টে বিদায়ী আমীর মাাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী খেলাফত মজলিসের আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। সংগঠনের শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত আমীরে মজলিসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম। শূরা সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান আমীরে মজলিস শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী।
অধিবেশনে ২০২৩-২৪ সাংগঠনিক সেশনের জন্যে নির্বাচিত ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ হচ্ছে:
আমীরে মজলিস- শায়খুল হাদিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মহাসচিব- ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্ম-মহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, আলহাজ্ব সদরুজ্জামান খান, ডাঃ এ এ তাওসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মিজানুর রহমান, আহমদ আসলাম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক এ এস এম খুরশীদ আলম, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. এবিএম হাসানুজ্জামান হেলাল, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সহকারী প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, সহকারী অর্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, সহকারী দফতর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি শিহাবুদ্দীন, সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবু সালমান, সহকারী উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল হাই, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শরীফ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসাইয়্যিব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে সুমাইয়া, সহকারী মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রায়হানা লোপা, নির্বাহী সদস্য- মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাস্টার সাইফুদ্দিন আহমদ, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মুফতী আবদুল হামিদ, আবু আদিবা, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক এম মোরশেদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা কাজী আসাদ উল্লাহ, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী, মাওলানা নুরুল আলম আল-মামুন, মাওলানা রুহুল আমীন চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসাইন মোহন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নেহাল আহমদ, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর এবং ৩৫ জন মহিলা সদস্যা।
অধিবেশনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ হচ্ছে- অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, অধ্যক্ষ মাসউদ খান-সিলেট, মাওলানা মুফতি রশীদ আহমদ ফারুক বর্ণভী-মৌলভীবাজার, হাফেজ মাওলানা নোমান মাজহারী- ঢাকা, মাওলানা জিয়াউল হক শামীম-ঢাকা, ডা. আবদুল্লাহ খান- ঢাকা, মাওলানা হোসাইন নুরী- হবিগঞ্জ, সৈয়দ রশীদ আহমদ ফেরদৌস বিন ইসহাক- ঢাকা, মাওলানা তৈয়বুর রহমান- বাগেরহাট, মাওলানা মুহাম্মদ সালেহ- খুলনা, সৈয়দ মুহিবুর রহমান- সিলেট, হাফেজ মাওলানা নুরুজ্জামান- সিলেট, অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. আবদুল লতিফ মাসুম- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া- খুলনা মহানগরী, মাওলানা ইমাম উদ্দিন- সুনামগঞ্জ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম- চাঁদপুর, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী- কিশোরগঞ্জ, ড. ইউসুফ আলী- গাজীপুর, মাওলানা বোরহান উদ্দিন- চট্টগ্রাম, মাওলানা আবদুল মান্নান- ঢাকা, মাওলানা মোহাম্মদ আলী- রংপুর, মাওলানা তাজুল ইসলাম- কুমিল্লা, হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম- চট্টগ্রাম, অধ্যাপক আলী রেজা- গোপালগঞ্জ, অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর- সিলেট, মাওলানা আবু তাহের- লক্ষ্মীপুর, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম- খুলনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কারী বজলুল হক- নারায়ণগঞ্জ, শায়খুল হাদিস মাওলানা আসাদুল্লাহ- জয়পুরহাট, মাওলানা নূরুজ্জামান খান- শরীয়তপুর, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী-ঢাকা, ড. ফারুক হোসাইন-মানিকগঞ্জ, ডা. আবু হোসেন-চট্টগ্রাম, হাফেজ মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ-বি-বাড়ীয়া, মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী- ঢাকা, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী- নারায়ণগঞ্জ, অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম- ভোলা, মাওলানা আবুল কাসেম- পটুয়াখালী, মাওলানা মোহাম্মদ মুছা- মানিকগঞ্জ, মাওলানা শরাফত আলী-কুমিল্লা, মাওলানা ফখরুদ্দীন-কুমিল্লা, মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী-ঢাকা, মুফতি শরীফুল্লাহ- ঢাকা, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী- ঢাকা, মাওলানা আলী আহমদ- গোপালগঞ্জ, মোরশেদ আলম খন্দকার- ঢাকা, লে. কমান্ডার মুসলেম উদ্দিন, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান- কিশোরগঞ্জ, মাওলানা শাব্বির আহমদ- বরিশাল, অধ্যাপক ওয়াসিক বিল্লাহ নোমান-ময়মনসিংহ, মাওলানা আবদুস শাকুর কাসেমী- সাভার, শায়খুল হাদীস আসাদুল্লাহ- খুলনা মহানগরী, ড. নেসার উদ্দিন- লক্ষ্মীপুর প্রমুখ।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবসহ শিক্ষাক্রমে ভুল-বিভ্রান্তিকর ইতিহাস এবং বিতর্কিত ও ধর্মবিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ প্রসঙ্গ, অর্থনৈতিক সংকট ও জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উচ্চমূল্য প্রসঙ্গ ও সুইডেনের উগ্রবাদী নেতা কর্তৃক পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে ৫টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
অধিবেশনে বিভিন্ন দাবীতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।