সমাজ পরিবর্তন করে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুবজাগরণের প্রয়োজন : মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ
এদেশের মুক্তি সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এ দেশের যুবসমাজ। শুধু তাই নয় দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে যুবসমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ইতিহাস সাক্ষী যুবসমাজ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে নিজেরা যেমন হয়েছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী ঠিক তেমনিভাবে তাদের এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে আছে চির অনুসরণীয়।
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে এদেশের যুবসমাজ সবসময় ছিলো সক্রিয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, আজ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে যুব সমাজের অংশগ্রহণ কখনো কখনো আমাদেরকে দারুণভাবে উদ্বিগ্ন করে। কারণ সমাজের কল্যাণকর কাজের পাশাপাশি আমরা দেখতে পাই যুবসমাজ নানাধরণের ঘৃণ্য অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কখনোই কাম্য নয়, কাম্য ছিলও না। কারণ আমাদের অতীত ইতিহাস কখনোই আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয় না।
গত ০২ জুন ২০২৩, শুক্রবার রাজধানীর পল্টনস্থ “ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে” ইসলামী যুব মজলিসের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন ও যুগ্ম সচিব মাওলানা সোহাইল আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে দিনব্যাপী লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে ড. কাদের বলেন, যুব সমাজের মধ্যে কলুষিত রাজনৈতিক দীক্ষা আর রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অপব্যবহারের মাধ্যমে বিত্ত-বৈভব কুক্ষিগত করার যে নগ্ন মানসিকতা তাদের মগজে ঠাঁই পেয়েছে এথেকে বেরিয়ে এসে নিজেদেরকে নৈতিক মান ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে উন্নত দেশ বিনির্মানে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই কেবল নিজেরাও বাচঁবে দেশও উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক সচিব এবং ইসলামী যুব মজলিসের শুভাকাঙ্খী মো: নূরুল আলম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব অ্যাডভোকেট মো: শায়খুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য মাওলানা আবুল হোসাইন, মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, মাওলানা আজিজ উল্লাহ আহমদী, অধ্যক্ষ দেওয়ান তানজিল আহমদ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ সালমান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারী ডেলিগেটদের মাঝে সনদ প্রদান করা হয়।