খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। অর্থনৈতিক দূরাবস্থা ও নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রয়োজন। এই জন্য নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অব্যবস্থাপনা, ঘুষ, দুর্নীীত বন্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিসের  মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফয়জুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি আবদুল হক আমিনী, হাজী নূর হোসেন, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার সাহাবউদ্দিন আহমদ, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।

বৈঠকে গৃহীত এক প্রস্তাবে ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত পাঠ্য বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নতুন পাঠ্যসূচিতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। সেক্যুলার রূপ দেয়ার জন্য ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বাংলা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বইয়ে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। ৭ম শ্রেণির ইতহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের প্রচ্ছদে ময়ুরের ছবি দেয়া হয়েছে যা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের জাতীয় পাখী। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের জাতীয় পাখীর ছবি ব্যবহার করা যেত। এ বইতে প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে যেসব বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিন্ম মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আর বইয়ে ব্যবহৃত কাগজ ও ছাপার মান নিয়ে প্রশ্নের তো শেষ নেই। নতুন কারিকুলামে বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা সিলেবাসের বইয়ের স্বাতন্ত্রতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার সংকোচনের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সকল বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, আপত্তিকর বিষয়সমূহ সংশোধন করা এবং সিলেবাস প্রণয়ন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ আলেম প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির জোর দাবী জানানো হয়।